২৪খবরবিডি: 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে নিজ হাতে গড়া ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন আজ মঙ্গলবার। দীর্ঘ চার বছর পর মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল ১১টা ২০ মিনিটে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পাশাপাশি জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে।'
'এরপর দলীয় সংগীত পরিবেশনের সঙ্গে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। এদিকে দীর্ঘদিন পর সম্মেলন পেয়ে আনন্দ আর উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে সকল স্তরের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে। এদিন সকাল থেকেই দেশের নানান প্রান্ত থেকে বিভিন্ন জেলা, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ শাখার নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন।'
'সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশে সরব উপস্থিত, কোলাহল ও মিছিল করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন জায়গা জড়ো হয়ে স্লোগান দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। পরবর্তী নেতা কে হতে পারেন তা নিয়েও নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন অনেকেই।
'আজ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা'
সবারই প্রত্যাশা আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে যারা বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখতে পারবে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে যাদের স্বচ্ছ ইমেজ রয়েছে ও রাজপথে পরীক্ষিত নেতা আগামী ছাত্রলীগের নেতৃত্বের ভার দেওয়া হোক।'
'নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, বহু লড়াই-সংগ্রামের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া এই সংগঠনে দক্ষ ও প্রযুক্তিতে জ্ঞান সম্পন্ন নেতৃত্ব আসবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি নেই। এবারের নেতৃত্বের অন্যতম বড় যোগ্যতা হতে পারে ঢাকা কলেজের কমিটি দেওয়ার সাহস!
'ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, আজই কেন্দ্রীয় দুই মহানগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি ঘোষণা হতে পারে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছে আট শতাধিক নেতা। এর মধ্যে দুই মহানগরে শীর্ষ দুই পদে প্রার্থী ৩১০ জন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে ২৫৪ জন আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই পদে প্রার্থী ২৪৫। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে বাড়তি উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা ও উত্তেজনা বিরাজ করছে সকল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে।'